বিশ্ব ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। সেটি এখন বিভিন্ন দেশের জাতীয় দলের চরম প্রতিন্দ্বন্দ্বী। আইপিএলের মোহে মজে জাতীয় দলের হয়ে খেলাকে তুচ্ছ মনে করছেন বিশ্ব ক্রিকেটের নামি-দামি ক্রিকেট তারকারা। আইপিএলের অর্থ ও অভিজ্ঞতাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা। তাদেরই দলের একজন ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জশ বাটলার।
অর্থ ও অভিজ্ঞতায় আইপিএলের প্রেমে পড়েছেন বাটলার। তার ভাষ্য, 'আইপিএলের সুবিধাগুলো আমরা সবাই জানি। অনেক বড় টুর্নামেন্ট এটি, আর্থিক পুরস্কারও অনেক বড়। এখনো আর্থিক বিষয়টা পুরোপুরি সুস্পষ্ট। পাশাপাশি এখানে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়, তা জাতীয় দলের হয়ে কাজে লাগে। ইংল্যান্ডের যারা আইপিএলে খেলে এবং এটা আমাদের জন্য কতটা উপকার করেছে, সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের উন্নতিতেই তা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।'
আগামী ৯ এপ্রিল থেকে আইপিএলের ১৪তম আসর শুরু হবে। শেষ হবে ৩০ মে। ২ জুন থেকে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করবে ইংল্যান্ড। আইপিএল শেষ করে টেস্ট সিরিজে অংশ নেওয়াটা ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের জন্য কঠিনই হবে। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে হলে, আগেভাগেই আইপিএল ছাড়তে হবে ইংল্যান্ড খেলোয়াড়দের। কিন্তু জাতীয় দলের চেয়ে আইপিএলকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা। আর আইপিএলে খেলার জন্য নিজ দেশের খেলোয়াড়দের অনুমতিও দিয়ে রেখেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
বাটলার বলেন, 'আইপিএলের কারণে টেস্ট খেলা বাদ হতে পারে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচসূচি পরে করা হয়েছে। তবে ইসিবি ও ক্রিকেটাররা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে সমাধান বের করতে। আইপিএলে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায়, অনেকের জন্য তা অনেক বেশি লাভজনক। অর্থের দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট।'
শুধু আর্থিক বিষয় নয়, আইপিএল থেকে অভিজ্ঞতা অর্জনকেও বড় বলছেন বাটলার। তিনি বলেন, 'আইপিএলে খেলার কারণে অনেক ক্রিকেটারের উন্নতি হয়েছে। যার প্রভাব জাতীয় দলে পড়ছে। আগামী আইপিএল ভারতে হচ্ছে। সেখানে বছরের শেষদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হবে। তাই বিশ্বকাপের আগে এবারের আইপিএল থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন সবার জন্য নিশ্চিতভাবে অনেক বড় সুযোগ।'