ত্বীনফল নিয়ে SAPPA Bangladesh Society এবং" আপন এ্যাগ্রো ফার্ম ও ছাদ কৃষি প্রকল্প" - ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
উন্নত অনেক দেশের তুলনায় ফল চাষের জন্য শতভাগ উপযুক্ত আমাদের এই দেশ। বাংলার মাটির উর্বরতা ও নদীমাতৃক দেশ এবং হাজার কোটি টাকা খরচ করেও তৈরী করা সম্ভব নয় এমন জলবায়ু তাই প্রমান করে!
এ দেশের কৃষি অধিকতর লাভজনক না হওয়ার প্রধান কারণ কী?
আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা প্রয়োগ না করা এবং উন্নত প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে সঠিক গবেষণার ফলাফল প্রয়োগ না করা। প্রচলিত ও অনাধুনিক অপসংস্কৃতির চাষ ব্যবস্থাপনা দিন দিন এই দেশের কৃষিকে অলাভজনক করে তুলেছে! ফলে কৃষকের অবস্থান নিম্ন ও মধ্যম আয়ের রূপ ধারণ করেছে। এই চিরাচরিত রূপটাকে পরিবর্তনের মাধ্যমে অন্য সকল শিল্পের থেকেও অধিকতর লাভজনক প্রমান করা সম্ভব, কেননা খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদার ১ নম্বর স্তরে।
তাই দেশের কৃষিকে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কর্পোরেট রূপ দিতে এগিয়ে আসতে হবে স্মার্ট ও সুশিক্ষিত প্রভাবশালী কৃষি অনুরাগীদের।
আমাদের মিশন হলো, এই দেশের জলবায়ু ও মাটিকে যথাযথ গবেষণার মাধ্যমে উন্নত ও উচ্চ মূল্যের ফলজ গাছ উদ্ভাবন ও জাত উন্নয়ন করা এবং তা চাষ উপযোগী করে কৃষি উদ্যোক্তাদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।
এবং ভিশন হলো, উন্নত ও আন্তর্জাতিক উচ্চ মূল্যের পুষ্টিগুন সম্পন্ন ফল উৎপাদন করে দেশের অভ্যন্তরীণ মানুষের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে দেশের কৃষিকে সম্মৃদ্ধিশালী হিসাবে গড়ে তোলা।
কৃষি লাভজনক না হওয়ার মূল কারণ:
✚ অধিক ফলন না পাওয়া।
✚ খুব দ্রুত ফলনশীল ফলজ উদ্ভিদ চাষ না করা।
✚ আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চ মূল্য না থাকা।
✚ বাজার চাহিদার তুলনায় অধীক উৎপাদন থাকা।
লাভজনক কৃষি উদ্যোক্তাদের করণীয়:
এমন ফলজ উদ্ভিদ চাষ করা যা অধিক ফলন এর পাশা পাশি ফলের গুনগত মান বজায় রাখবে।
ফলন পেতে ২-৫ বছর লেগে যায় এমন আন্তর্জাতিক নিম্ন মূল্যের উদ্ভিদ চাষ না করা।
এমন ফলজ উদ্ভিদ চাষ করা যার উৎপাদন অধিক মাত্রায় হওয়া সত্ত্বেও বাজার মূল্য হ্রাস পাবে না অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারের চিন্তা করে ফলজ উদ্ভিদ চাষ করা।
এমন ফলজ উৎপাদন করা যার মার্কেট চাহিদা থাকার পাশা পাশি প্রতিযোগী শূন্য থাকা কিংবা স্বল্প প্রতিদ্বন্দ্বী থাকা।
আপনার এবং কৃষির উন্নয়নের কথা চিন্তা করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি বিগত ৫-৬ বছর ধরে। উন্নত বীজ ও উদ্ভাবনী চারা, উন্নত সার, ল্যাব পরীক্ষিত কৃষি উপাদান, কৃষি পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা। আর এই পথযাত্রায় আমাদের উদ্ভাবিত পণ্য, ত্বীন ফলের গবেষণা ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এই দেশের জলবায়ু ও মাটিতে চাষ উপযোগী করে আপনার হাতে তুলে দিতেই নিরলস প্রচেষ্টা। চূড়ান্ত গবেষণা শেষে ত্বীন ফল এই দেশের জলবায়ু ও মাটির সাথে চাষ উপযোগী করে কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি আমরা।
কেন বাণিজ্যিক ত্বীন ফল চাষ করবো?
১. উচ্চ ফলন
একটি বাণিজ্যিক ত্বীন গাছ প্রথম বছরেই ফল দিয়ে থাকে ৪-৭ কেজি এবং দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বছরে ১৫-৪০ কেজি ফলন নিশ্চিত করে।
২. উচ্চ মূল্য
ত্বীন ফলের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ১২০০-১৬০০ টাকা প্রতি কেজি, এবং অভ্যন্তরীন বাজার মূল্য ১০০০ হাজার টাকা প্রতি কেজি।
৩. দ্রুত সময়
৬ মাসের চারা রোপন করার ৩ মাসের মধ্যেই ফলন চলে আসবে। এবং তার ৮২-৯৫ দিনের মধ্যে ফল হারভেস্ট করে বিপণন করা যাবে।
৪. একক বাজার
যেহেতু ত্বীন ফলের উৎপাদন পৃথিবী জুড়েই কম তবে ভোক্তার উৎসুক উৎসাহ পুরো বিশ্ব জুড়েই যার বড় প্রমান গুগল সার্চ ভ্যালু। পুষ্টির সম্ভার হওয়ায় ইউরোপিয়ান দেশ গুলোতে ত্বীন ব্যাপক জনপ্রিয়। আর কোরআনে বর্ণিত হওয়ায় মুসলিমদের কাছেও বরকতময় বিশেষ মর্যাদাপূর্ন ফল। একই সাথে হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্ট ধর্মেও এই ফলের গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
৫. ৩৬৫ দিন ফলন
সব থেকে মজার ব্যাপার হলো একটি ত্বীন গাছের আয়ুকাল ১০০ বছরেরও অধিক হয়ে থাকে এবং অবাক করা বিষয় ৩৬৫ দিনই ফলন দেয় অর্থাৎ প্রতিদিনই ফল হারভেস্ট করা যায়।
লাভজনক কৃষিতে ত্বীন ফল নতুন সম্ভাবনা বয়ে আনবে নিত্য নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে।