নিহত
ব্যক্তির নাম মোকারম হোসেন (৪৩)। তাঁর
বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়। তিনি এসিআই ফুডের বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। দুর্ঘটনায় আহত মোতালেব হোসেনের (৩৮) বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়। তিনি প্রাণ কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন এসিআই ফুডের মেহেরপুরের পরিবেশক হাসিনা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আখতারুজ্জামান।
প্রত্যক্ষদর্শী
ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেহেরপুর শহরে একই বাসায় ভাড়া থাকার কারণে মোকারম ও মোতালেবের মধ্যে
বন্ধুত্ব হয়। আজ শুক্রবার ছুটির
দিনে তাঁরা আশপাশের এলাকায় ঘুরতে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। সকাল ৯টার দিকে শহর থেকে মোটরসাইকেলে করে বামন্দীর দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তেরাইল কলেজের কাছাকাছি পৌঁছালে কুষ্টিয়াগামী দ্রুতগতির একটি লোকাল বাস পেছন থেকে তাঁদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলটির
চালকের আসনে থাকা মোতালেব রাস্তার পাশে ছিটকে পড়লেও আরোহী মোকারম পড়েন বাসের চাকার নিচে। চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাসটি দ্রুতগতিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে বামন্দী শহরে বাসটি আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
ঘটনাস্থল
থেকে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। বাসটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী
আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কাজ করছে পুলিশ।